Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের চুক্তি

 

 

আমঝুপী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ডিজিটাল সেন্টার এর উদ্দ্যোক্তার চুক্তি নামা পত্রঃ

 

১ম পক্ষঃ

মো:বোরহান উদ্দিন আহাম্মেদ

চেয়ারম্যান

আমঝুপী ইউনিয়ন পরিষদ।

২য় পক্ষ

১। মোহাম্মদ কামরুজ্জামান

গ্রামঃআমঝুপী,ডাকঘর:আমঝুপী

উপজেলা ও জেলা:মেহেরপুর।  

      

২।মোছাঃরাজিয়া সুলতানা

গ্রাম:খোকসা,ডাকঘর:আমঝুপী

উপজেলা ও জেলা:মেহেরপুর।

                                                                                                                               পরম করুনাময় মহান আল্লাহর নাম স্বরনে আমঝুপী ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান ও ডিজিটাল সেন্টার এর উদ্দ্যোক্তার মধ্যে চুক্তি নামা পত্র লিখা আরম্ভ করলাম।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে জনগনের ক্ষমতায়নের অন্যতম পূর্বশর্ত অনগ্রসর জনগনের মাঝে তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাদের জীবন যাত্রার মান ইতি বাচক পরিবর্তন আণয়ন এবং তৃনমুল পর্যায়ে ব্যাপক জন গোষ্টীর মাঝে তথ্য সেবা পৌঁছে দিয়ে জনগনের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করেছেন। আর তারই ধারাবাহিকতায় ১, পক্ষ আমঝুপী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ২য় পক্ষ গনের মধ্যে নিন্ম বর্নীত শর্ত সাপেক্ষে এই চুক্তি নামা পত্র সম্পাদিত হলো।

 

 

 

 

 

চুক্তির শর্ত সমূহঃ

প্রথম পক্ষ (ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব)

১। প্রথম পক্ষ ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টার স্থাপনের পরিষদ ভবনে একটি উপযু্ক্ত কক্ষ, প্রয়োজনীয় উপকরণ ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করাবে । পরিষদের ভবন তৈরি না হয়ে থাকলে নিকটস্থ কোন ভবনে কক্ষ ভাড়া করে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা যাবে।

২। প্রথম পক্ষ ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারে নতুন নতুন সেবা যুক্ত করার ক্ষেত্রে উদ্দ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা যাবে । 

৩। প্রথমপক্ষ ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারের উদ্দ্যাক্তা নিরবাচন করবে । নিবাচিত উদ্দ্যোক্তাকে উপজেলা নিরবাহী কর্মকর

৪।

৫।

৬। ইউনয়ন ডিজিটাল সেন্টারে তথ্য ভান্ডার সরবরাহ করা।

 

৭। চুক্তি মেয়াদ কালে একই এলাকায় প্রথম পক্ষ বা দ্বতীয় পক্ষ একই ধরনের সেবা গ্রহনের জন্য অন্য কোন উদ্দ্যোক্তার সাথে আগামী ০৩(তিন) বছরের মধ্যে চুক্তি বদ্ধ হবেন না। তবে বর্তমান উদ্দ্যোক্তার আগ্রহ থাকলে নতুন চুক্তির ক্ষেত্রে তিনিই অগ্রধীকার পাবেন।

৮। ইউ,পি চেয়ারম্যান উদ্দ্যোক্তার আয়-বয় হিসাব যথাযথ পরিক্ষন করবেন।

৯। উদ্দ্যোক্তার সাথে চুক্তি সম্পাদনের ৫(পাঁচ) বছর কাল পর্যন্ত ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার এর অর্জিত ভাল ইউনিয়ন পরিষদ গ্রহন করবে না।

১০। সরকারের পক্ষ থেকে সময় সময় জারিকৃত নির্দেশবলী পালন করতে হবে।

১১। চুক্তি স্বাক্ষরকারীর অবর্তমানে তার প্রতিনিধী ও উত্তরাধিকারীগনের উপর এই চুক্তি নামার শর্তাবলী বর্তাবে।

দ্বিতীয় পক্ষ (উদ্দ্যোক্তার দায়িত্ব)

১। ইউনিয়ন পরিষদ তথ্য ডিজিটাল সেন্টার ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে ডিজিটাল সেন্টার কার্যক্রমে প্রয়োজনীয় অর্থ লগ্নী করবেন।

২। স্থানীয় জনগোষ্ঠী যাতে অবাধে তথ্য ও সেবা পেতে পারে তার সর্বাত্বক ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন।

৩। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ব্যবস্থাপনা কমিটির মতামতের আলোকে ডিজিটাল সেন্টার পরিচালনার সময় সুচি নির্ধারন অনুযায়ী কার্যক্রম চালাবেন।

৪। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার এর সমস্ত উপকরন রক্ষনা বেক্ষনের ব্যবস্থা করবেন।

৫। উদ্দ্যোক্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ও মোছাঃ রাজিয়া সুলতানা পূর্ব হতে সচিবের পাচ ওয়াড ব্যবহার করছেন। নিজ নিজ পাচ ওয়াড না পাওয়া অবধী সচিব্রে পাচ ওয়াড ব্যবহার করবেন। তবে আইন বিরোধী কার্যক্রম করলে তারা সম্পূর্নরুপে দায়ী থাকবেন।

৬। স্থানীয় পর্যায়ে বানিজ্যিক সেবার চাহিদা নির্ধারন ও উদ্ধ্ব্ধুকরন কর্মসুচী পরিচালনা করবেন।

৭। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার প্রচার ও প্রসারের উদ্দেশ্যে এমন কোন পদক্ষেপ গ্রহন করবেন না যার দ্বারা জাতি,ধর্ম ও বর্ণ বিভেদ সুষ্টি করতে পারে অথবা ইউনিয়ন পরিষদের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে পারে।

৮। বিদ্যুৎ পানি ও অন্যান্য সার্ভিসের মাসিক বিল যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট নিয়মিত পরিশোধ করবেন।

৯। ইউনিয়ন পরিষদের নিকট প্রতি বছরের আয়-ব্যয় এর হিসাব দেবেন ও মাসিক প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

১০। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের যাবতীয় উপকরন মেরামত ও রক্ষনা বেক্ষনের দায়িত্ব উদ্দ্যোক্তা গনের।

১১। ডিজিটাল সেন্টারে কোন ফানির্চার, ডেকোরেশন,মেশিনারিজ সরবরাহে ইউনিয়ন পরিষদ ব্যর্থ হলে উদ্দ্যোক্তাগন নিজেরাই সেগুলি সংগ্রহ করবেন।

১২। সরকারী নির্দেশনা পালন করবেন।

১৩। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে ডিজিটাল সেন্টার এর কার্যক্রম সম্পর্কে নিয়মিত অবহিত করবেন।

১৪। চুক্তি নামার মেয়াদ চুক্তি স্বাক্ষরের দিন হতে আগামী ০৩(তিন) বছর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে তবে উভয় পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে চুক্তি পত্র নবায়ন করা যাবে।

১৫। বাংলাদেশের বিদ্যামান আইন অনুযায়ী এই চুক্তি পত্র বলবৎ হবে।

১৬। নিম্নলিখিত কারনে চুক্তি নামা বাতিল হবে।

(ক) উদ্দ্যোক্তা যদি ২৪(চব্বিশ) মাসে ও ডিজিটাল সেন্টার ব্যবসায় সফল না হয়।

(খ) উদ্দ্যোক্তার কার্যক্রম সন্তষ জনক না হলে চুক্তি বাতিল করতে পারবেন। ইউ,পি সাধারন সভায় বিষয়টি অনুমোদিত হতে হবে।

(গ) যে কোন এক পক্ষ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করলে অন্যপক্ষ আমরা উভয় পক্ষ সেচ্ছায় স্বজ্ঞানে সুস্থ্য সস্তিস্কে সুস্থ্য শরীরে অন্যের বিনা প্ররোচনায় এই চুক্তি পত্র দলিল পাঠ করে এর মর্মার্থ সম্পর্কে জেনে সম্পূর্ন সঠিক ও শুদ্ধ বিবেচনা করে স্বাক্ষীগনের সম্মুখে এই চুক্তি নামা সম্পাদন করছি ও স্বাক্ষর করলাম। তাং ১০-১০-২০১৬ইং